এ বিশ্বের দরবারে আপন সংস্কৃতি উন্মোচনের অন্যতম মাধ্যম হলো চলচ্চিত্র। একটি ভালো চলচ্চিত্র যেমন গোটা জাতিকে একসাথে বার্তা দিতে পারে, হাসাতে পারে, কাঁদাতে পারে, ভাবাতে পারে, একইভাবে আহবান জানাতে পারে শুভ'র প্রান্তরে। চলচ্চিত্র যেমন আমাদের মননে প্রভাব ফেলে তেমনিভাবে প্রভাব ফেলে আমাদের জীবনেও। প্রতিটি মানুষের জীবনেই লুকায়িত থাকে ছোট ছোট গল্প-উপন্যাস কিংবা মহাকাব্য। আর এসবকিছুর মিশ্রণে এক একজনের জীবন হয়ে উঠে এক একটি চলচ্চিত্র।
বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি যুগ কোনটা জিজ্ঞেস করলে মনের মাঝে ভেসে আসে ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত সময়টা। এসময়কে বলা হয় বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি যুগ। জহির রায়হান ও খান আতাউর রহমানসহ আরো অনেক কিংবদন্তি পরিচালকগণ উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী সিনেমা। আশির দশকের অনেক জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসাসফল সিনেমা ছিল বেদের মেয়ে জোসনা (১৯৮৯)। এরপর বীর পুরুষ, আম্মাজান, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, স্বামী কেন আসামি, ছুটির ঘন্টা, দীপু নম্বর টু, মাটির ঘরসহ আরো কিছু কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
কিন্তু কোথায় সেই সোনালি যুগ? সাদাকালো যুগ পরবর্তী নব্বই দশকে দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩৫টি আর বর্তমানে সেই সংখ্যা এসে ঠেকেছে মাত্র ৬২টি তে! দেশে ২৫টি জেলায় এখন আর নেই কোনো সিনেমা হল। আজ বাংলার চলচ্চিত্র এক অবসন্ন প্রান্তরে দাঁড়িয়ে আছে, যা আর বলার অবকাশ রাখেনা। এই দুর্যোগে আমরাই আনতে পারি হাওয়া বদলের আবাহন। এই হাওয়া বদলেই খেটে চলেছেন নতুনদিনের পরিচালক ও অভিনেতা-অভিনেত্রীগন। হাওয়া, পোড়ামন ২, ঢাকা এটাক, অজ্ঞাতনামা, পরাণ, আয়নাবাজি, অপারেশন সুন্দরবন, ব্ল্যাক ওয়ার এর মতো নতুন সিনেমা গুলো যেনো সেই হাওয়া বদলেরই আবাহন।
তাই তাদের অবিরাম প্রচেষ্টা ও বাংলা চলচ্চিত্রের কালজয়ী চলচ্চিত্র এবং চলচ্চিত্র কর্মীদের উৎসর্গ করে আমাদের এবারের বিইউপি ফিল্ম ফেস্ট-২০২৩ এর মুল নিষ্কর্ষ ~ ''অবসন্ন প্রান্তরে হাওয়া বদলের আবাহন"
আমাদের প্রত্যাশা এই যে, বিইউপি ফিল্ম ফেস্ট ২০২৩ যেনো চলচ্চিত্রমনা সকলের জন্য অবসন্ন প্রান্তরে হাওয়া বদলের মতো উদ্দীপনা বয়ে আনে।
১) Short-film :
সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে।
১. সময়ব্যাপ্তি: সর্বোচ্চ ২০ মিনিট ।
শর্ট ফিল্মের রেজিস্ট্রেশন ফি ৯৯/- টাকা।
বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে। বিকাশ নাম্বার
ক) 01553506003
খ) 01734219925